বরুণকুমার চক্রবর্তী
ভার্সেটালিটি নয় কথার কথা, দৃষ্টান্ত তার পাই।
অবশ্যই তা কদাচিৎ, ভুরি ভুরি তারা নাই।।
যদিও অনেকে নিজেদের ভার্সেটাইল প্রমাণ করতে চায়।
তাদের করুণ অবস্থায় মন করে যে হায় হায়।।
মাওলা প্রিন্স আমার জানা এমনই একজন।
একাধারে তিনি কবি, কথাকার, তাছাড়া গবেষক হন।।
চার চারটি কাব্য গ্রন্থের তিনি যে রচয়িতা।
নয়কো নিছক কবিতা রচনা তাঁহার বিলাসিতা।।
সত্য, শিব আর সুন্দরের করেন উপাসনা।
‘দিবারাত্রি প্রেমকাব্য’ পড়ে তবেই যাবে জানা।।
কিংবা ‘নিশীথপ্রদীপে শঙ্খঝিনুকের চাষ’।
‘আবার বছর কুড়ি পর’ নয় অর্থহীন বিলাস।।
‘বেঁচে থাকাই যুদ্ধ এবং শান্তি’ তাঁরই উপন্যাস।
পাঠক পড়ে হবেন মুগ্ধ, কারণ ভিন্ন এ প্রয়াস।।
গতানুগতিকতার অনেক ঊর্ধ্বে লিখেছেন কায় মনে।
গভীর অভিজ্ঞতা ও চিন্তার ফসল রচনা শুভক্ষণে।।
গবেষণাতেও স্বতঃস্ফূর্ত, অন্তত একটির কথা বলি।
নজরুল জীবনানন্দের কাব্যে পুরাণ চিত্রকল্প কেমন করে ভুলি।।
সম্পূর্ণ এক নতুন দিশার সন্ধান মেলে এতে।
সারাটা জীবন সৃজনী কর্মে থাকুন আপনি মেতে।।
Discussion about this post